রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে ঘোড়ার জন্য নিরাপদ আবাসন ও খাদ্য নিশ্চিত করতে আইনী নোটিশ

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ৩১ মে, ২০২১
  • ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার শহরের জীবিত ও সুস্থ ঘোড়ার জন্য নিরাপদ আবাসন ও খাদ্য নিশ্চিত করতে দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১৩ জনকে ‘নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাস্টিস’ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) এবং পিপল ফর এনিমল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। রোববার রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রীম কোর্ট ও বেলার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।

নোটিশে অসুস্থ ঘোড়াগুলোর চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা, ঘোড়াকে খাবার না দেওয়াসহ ঘোড়ার প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা মালিক ও তত্ত্বাবধায়কদের শাস্তির দাবী, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকপণ্যের বহন, বিক্রয়, ব্যবহার, বিপণন নিষিদ্ধ করতে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ প্রতিপালন ও কক্সবাজার নগরীকে আবর্জনামুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ‍গৃহিত পদক্ষেপ আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশদাতাকে অবহিত করা না হলে নোটিশ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হয়েছে।

যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ভেটেনারি কাউন্সিলের সভাপতি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

নোটিশে বলা হয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি কক্সবাজারে প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটক ভীড় জমায়। দেশ-বিদেশ হতে আগত এসব পর্যটক বিনোদনের অংশ হিসেবে ঘোড়ায় চড়েন। দুই শতাধিক ঘোড়া কক্সবাজার নগরীতে আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতায়াতের বাহন হিসেবে ব্যবহার ব্যতিও এসব ঘোড়া বিভিন্ন শোভাযাত্রা, সিনেমার শ্যুটিং, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা, বিয়ে, খেলাসহ নানা বিদোনমূলক কাজে ব্যবহার করে ঘোড়ার মালিকগন প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। সম্প্রতি বৈশ্বিক মহামারী সংকটকারীন সময়ে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কক্সবাজারে বছরব্যাপী আর্থিক জোগানের উৎস এ ঘোড়াগুলো খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। সম্প্রতি দেশের জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী খাবারের অভাবে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে সৈকতে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ঘোড়াগুলো। ইতোমধ্যে গত এক মাসে খাদ্যের অভাবে ২১টি ঘোড়ার মৃত্যু ঘটেছে এবং বিগত বছর প্রথম দফায় লকডাউনকালীন সময়ে খাদ্যসংকটে ৪০টির বেশি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ঘোড়ার মালিক ও তত্ত্বাবধায়কগণ ঘোড়ার খাদ্য যোগান না দিয়ে ঘোড়াগুলোকে রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অসুস্থ দুর্বল ঘোড়াগুলো বিভিন্ন যানবাহনের সাতে দুর্ঘটনারও সম্মুখিন হচ্ছে। ঘোড়াগুলো রাস্তার পাশে ফেলে রাখা প্লাস্টিক বা পলিথিন বর্জ্য খেয়ে ফেলছে যার দরুন দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার শিকার হচ্ছে। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোন প্রাণীকে প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রদান না করা এবং অসুস্থ অবস্থায় লোকালয়ে মুক্ত করে দেওয়া প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা দণ্ডনীয় অপরাধ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102