বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

কারাগারে যাচ্ছেন স্বামী, সঙ্গে ইয়াবা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার স্ত্রী

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাচ্ছেন স্বামী। সঙ্গে শুকনো কিছু খাবার দেওয়ার অনুমতির জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে দায়িত্বরত পুলিশকে অনুরোধ করেন স্ত্রী। খাবারের ব্যাগ দেওয়ার আগে সন্দেহের বশে তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় ব্যাগে শুকনো খাবারের সঙ্গে পলিথিনে বিশেষ কায়দায় রাখা ১৬টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

গত বুধবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। পরে দিনাজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রুজিনা বেগম (২৪) নামের ওই নারীকে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে রুজিনা বেগমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

রুজিনা বেগমের স্বামীর নাম মিলন রহমান (২৭)। মিলন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সাহেবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় কেবল চুরির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মিলন রহমানের নামে মামলা করে। সেই মামলায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নবাবগঞ্জ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মিলন। বুধবার মিলন রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর আসামিকে আদালতের হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার বিকেলে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার আগে মিলনের স্ত্রী রুজিনা বেগম স্বামীকে একটি ব্যাগে করে শুকনা খাবার দেওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত পুলিশকে অনুরোধ করেন। পুলিশের সন্দেহ হলে ব্যাগ তল্লাশি করে ১৬টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে রুজিনা বেগমকে আটক করা হয়।

দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুজিনা তার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, মিলন দীর্ঘদিন থেকে মাদক সেবন করেন। মাদক সেবন না করলে তিনি শারীরিকভাবে অস্থির হয়ে পড়েন এবং শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ইয়াবা বড়ি সংগ্রহ করে শুকনো খাবারের সঙ্গে দেন।

ওসি ইমাম জাফর আরও বলেন, রুজিনার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, ইয়াবা কোন মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে, সেসব বিষয় অনুসন্ধান করছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102