তারা হলেন উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের খলিফাপাড়া গ্রামের এমএসসি শেষ করা শিক্ষার্থী মো. ওসমান, বিএসসি পাস কামরুল হাসান, মাস্টার্স মিজানুর ইসলাম, এলএলবি মো. আশরাফ ও বিবিএ শেষ করা জাহেদুল ইসলাম। উচ্চশিক্ষিত হয়েও দেশের চাকরির বাজারে খারাপ অবস্থা দেখে কারো দ্বারস্থ না হয়ে এ কাজে নেমেছেন। তারা গ্রামের কয়েক একর জমি নিয়ে শুরু করেন (সতেজ খামার) নামে সবজির খামার। ইতিমধ্যে এই পাঁচ উচ্চশিক্ষিত যুবক পাল্টে দিয়েছেন এলাকার মানুষের ধ্যান-ধারণা। গ্রামের মানুষের কাছে তারা এখন উদ্যোগী যুবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এ পাঁচ উদ্যমী বলেন, পড়াশোনা শেষ করে দীর্ঘদিন চেষ্টা করে আমাদের চাকরি হয়নি। মেধাবী হয়েও দেশের চাকরির বাজারে আমাদের স্থান না হলেও দেশের মাটিতে আমরা সফল চাষি। তারা বলেন, আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে অপার সম্ভাবনা রয়েছে কৃষিতে। তাই দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তারা বলেন, আমাদের মতো দেশের যুবসমাজ কৃষিতে এগিয়ে এলে সামনের দিকে কৃষিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করে দেশের মানুষকে যদি রোগমুক্ত জীবন দেয়া যায়, তাহলে দেশ উন্নয়নশীল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।
তারা আরো জানান, বাংলাদেশের মাটিতে ফসল ফলাতে এই দেশের মাটির উর্বরতা অতুলনীয়। তাই দেশের ৮০ শতাংশ কৃষকের ঘর ফুলে ও ফলে পরিপূর্ণ।
এ ৫ যুবক জানান, বর্তমানে আমাদের খামারে উৎপাদিত হচ্ছে ‘স্কোয়াশ, দেশি আলু, ডায়মন্ড আলু, মিষ্টিকুমড়া, ফল, দেশি খিরা, তরমুজ, ক্যাপসিকাম, হাইব্রিড মরিচ, দেশি মরিচ, বরবটি, ঢেড়স, দেশি টমেটো, দেশি ফেলন বীজসহ আরও কয়েকটি ফসল।’ জৈব সার ব্যবহারের পাশাপাশি তাদের খামারে পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তাদের এই উদ্যোগে তাদের পাশে এগিয়ে এসে সহযোগিতা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। তারা দুই একর জমিতে প্রায় দু’ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। ইতিমধ্যে তাদের খামারে উৎপাদন হওয়া ফসল বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। আশা করছেন, এতে খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকারও বেশি লাভ হবে।
কমেন্ট করুন