রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন

জেলায় ভূমি ও গৃহহীনরা পাচ্ছে আরও ১০১৮টি বাড়ি

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

২০ জুন হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পাচ্ছে আরও এক হাজার ১৮টি বাড়ি। ইতোমধ্যে এই বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বাড়িগুলো উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে আগামী ২০ জুন।

ওইদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশে ৫৩ হাজার ৩৪০টি উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, কক্সবাজার জেলায় ‘ক’ শ্রেণীর পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই পর্যায়ে মোট এক হাজার ৪২৩টি একক গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০৩টি গৃহ প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। অবশিষ্ট এক হাজার ১২০টি গৃহের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়া এক হাজার ১৮টি (প্রথম পর্যায়ে ৫৬২টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫৬টি) গৃহ উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ সরকারের মহতী এ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরের লক্ষ্যে খাসজমি বন্দোবস্তি প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীণ অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণীর পরিবারের জন্য একক গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিগত জানুয়ারী মাসে প্রথম পর্যায়ে সম্পন্ন হওয়া গৃহসমূহ উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে হস্তান্তর করা হয়, যার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৩০৩টি গৃহ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২০ জুন বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশের সকল উপজেলা যুক্ত থাকবে। উপজেলা প্রান্তে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও গণভবন প্রান্ত থেকে মূল উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হবে সাড়ে ১০টায়।

জেলা প্রশাসক জানান, মূল অনুষ্ঠান গণভবন থেকে সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হলেও আমরা সকাল ৯টার দিকে সবাইকে উপস্থিত হতে বলেছি। যেহেতু আশ্রয়ন প্রকল্পের উপর একটি ভিডিওচিত্র প্রর্দশন করা হবে সেহেতু সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করব।

অনুষ্ঠানটি কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে জেলার সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণভবণের সাথে যুক্ত থাকবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে প্রথম ও ২য় পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চকরিয়ায় ৪৩০টি বাড়ি, পেকুয়ায় ৬০টি, কুতুবদিয়ার জন্য ৩৭টি, কক্সবাজার সদরের ১৪৮ টি, রামুতে ৩০৫টি , উখিয়ায় ১৪৫টি ও টেকনাফে ২৬২টি বাড়ি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন-আল পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক শ্রাবস্তি রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102