কক্সবাজারের পেকুয়ায় ট্রাকভর্তি চোরাই সরকারী পাঠ্যবই জব্দ করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁশিয়াখালী কামিল মাদ্রাসার ভেতরে স্থানীয় বাসিন্দারা চোরাই পাঠ্যবই বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে। পরে খবর পেয়ে পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চোরাই বইভর্তি ট্রাকটি জব্দ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল করিম বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাপোড়া ইউনিয়নের মীর পাড়া গ্রামের আহমদ ছফার ছেলে রহমত উল্লাহ এসব বই মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু মনসুর মো. নোমানের কাছ থেকে কিনে রাতের আঁধারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা বইভর্তি গাড়িটি আটকে রেখে থানায় খবর দেই।
ক্রেতা রহমত উল্লাহ বলেন, ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে এই বইগুলো মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নোমান সাহেবের কাছ থেকে আমি কিনেছি। গত আট বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে আমি পাঠ্যবই কিনে আসছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফোরকান বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু মনসুর মো. নোমান শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি পাঠ্যবই অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। গতকাল রাতে এসব পাঠ্যবই নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রেতাপক্ষ ট্রাকভর্তি করলে আমরা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকে অবহিত করি। গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদরাসা করণিক মিসবাহ দৌড়ে পালিয়ে যান।
ফাঁশিয়াখালী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু মনসুর মো. নোমান বলেন, মাদ্রাসার জন্য সরকার যে সকল খাতে বরাদ্দ দেয়, ওসব ছাড়াও আমাদের বিবিধ খরচ রয়েছে। এই খরচ মেটাতে আমরা পুরাতন পাঠ্যবই গুলো বিক্রি করে থাকি।
পেকুয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উলফাৎ জাহান বলেন, সরকারের দেওয়া পুরাতন বই বিক্রি করার কিছু নিয়ম রয়েছে। অধ্যক্ষ সাহেব এসব নিয়ম অনুসরণ না করলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ফাঁশিয়াখালী মাদ্রাসার প্রবেশ পথের ভেতরে ট্রাকে বোঝাই সরকারী পাঠ্যবই জব্দ করা হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমেন্ট করুন