করোনা মোকাবিলায় গণটিকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সক্ষম যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি দেবে গ্লোব বায়োটেক। ট্রায়েলের অনুমতি পেলে তিন মাসেই সব প্রক্রিয়া শেষ করার আশ্বাস তাদের।
ভারত সরকারের দেয়া উপহার আর সেরাম থেকে ক্রয় করা মিলিয়ে দেশে করোনার ভ্যাকসিন এসেছে এক কোটি তিন লাখ। এর পুরোটা প্রয়োগ হলে দেশে জনসংখ্যার হিসেবে ছয় শতাংশ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এ অবস্থায় দেশীয় ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক জানিয়েছে, মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তিনটি ধাপ সঠিকভাবে শেষ হলে বঙ্গভ্যাক্স হাতে পেতে সময় লাগবে তিন মাস। এর পরেই চাহিদা অনুসারে উৎপাদন করতে সক্ষম তারা।
গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী ড. কাকন নাগ বলেন, ফেস ওয়ান টু সাপেক্ষে সরকার যদি মনে করে জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে এটি যদি উন্মুক্ত করে দেয়া যায়, যদি চান উনারা সেক্ষেত্রে হয়তো দুই মাসের ভেতরে হয়ে যেতে পারে। এ টেকনোলজিটি অন্য ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে বেশি ইফেকটিভ এবং আমাদের নিজস্বই সক্ষমতা আছে প্রতি মাসে এক কোটি ডোজ দেয়ার।
তবে গণটিকা নিশ্চিত করতে অন্য যে কোনো ওষুধ কোম্পানি এ ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি পাবে বলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে জানানো হয়।
গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, এখান থেকে সবকিছু করে দেয়া হবে, তারা শুধু ফিল করবে। আমাদের টেকনোলজি তো পাচ্ছে না, ওরা উৎপাদন করবে। আসলে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে একটা প্রোডাক্ট অন্য কোম্পানিতে করতে হলে একটা নির্দিষ্ট টাকা দিতে হয়, একটা পারসেন্ট দিতে হয়, ওভাবে আমরা করব। আর অনেকে এটা করার জন্য আগ্রহীও। আমরা নিজেরাও যোগাযোগ করেছি, এখন বাংলাদেশে দুই থেকে ৩টি কোম্পানি আছে ইনসেপ্টা আছে, হেলথ কেয়ার আছে, পপুলার আছে যারা ভ্যাকসিন করে থাকে আরকি।
পুরোপুরি সিনথেটিক উপাদান ব্যবহার করায় এ ভ্যাকসিন কোনো প্রাণিজ উপাদান ব্যবহার করা হয়নি।
এর আগে, গত বছরের ২ জুলাই করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই টিকা তৈরির কাজও শুরু করে।
দেশে এ পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২১ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৬ জন করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৩০ এবং নারী ৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৬৬ জন। এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৬ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ২ হাজার ৫৭৪।
কমেন্ট করুন