বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুতের যন্ত্রনায় অতিষ্ট সর্বস্তরের মানুষ

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ৩১ মে, ২০২১
  • ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যূতের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি এবং ঘনঘন বিদ্যূৎ আসা যাওয়া করায় ঘরে থাকতে পারছেনা মানুষ। এতে বয়স্করা কোন মতে ঘরের বাইরে হাটাহাটি করে সময় কাটাতে পারলেও ঘরের মহিলা এবং শিশুরা চরম অসহায় হয়ে পড়েছে এতে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে বলে ও জানা গেছে। এদিকে বিদ্যূৎ বিভাগের বক্তব্য সরকারি উন্নয়ন করার জন্য এবং লাইন মেরামতের জন্য লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

শহরের মোহাজের পাড়ার বাসিন্দা ডাঃ চন্দন কান্তি দাশ বলেন, একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘন ঘন বিদ্যূতের লোডশেডিংয়ে আমরা বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছি। ৩০ মে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যূৎ ছিল না। বিকালে বিদ্যূৎ আসার পরে রাত ৮ পর্যন্ত ৪ বার লোডশেডিং হয়েছে এখন রাত সাড়ে ৮ টা এখনো বিদ্যূৎ নাই। তাহলে আপনারা বুঝেন আমরা কি অবস্থায় আছি। তিনি বলেন, আমরা হয়তো পুরুষ মানুষ শার্টখুলে ঘরের বাইরে হাটবাজারে ঘুরতে পারি কিন্তু ঘরের মহিলা এবং শিশুরা কোথায় যাবে। তাদের অবস্থা চরম বেহাল এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

বাহারছড়া এলাকার ফারুক আজম বলেন, গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যূতের লোডশেডিং, এতে চরম অসহায় হয়ে পড়েছি। বিশেষ করে রাতে যখন বিদ্যূৎ চলে যায় তখন খুবই খারাপ লাগে কারণ ঘরে থাকা শিশুরা সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তিনি জানান, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলেও সেখানেও বিদ্যূৎ থাকেনা। শহরের টেকপাড়া এলাকার ওসমান গনি পুতু বলেন, সপ্তাহে কয়েক দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিদ্যূৎ থাকে না। এ সময় ঘরে খাওয়ার পানি পর্যন্ত থাকে না।অনেক সময় পুকুর থেকে টাকা দিয়ে পানি এনে বাথরুম সারতে হয়েছে এমন দিনও গেছে। আর বিদ্যূৎ বিভাগ মাইকিং করেছে বলে দায়সারাভাবে মানুষকে বোকা বানায়। আসলে সরকারি অফিস কারো কিছু করার নাই। তাছাড়া সরকার বলছে বিদ্যুতে স্বয়ং সম্পূর্ণ তাহলে এত বিদ্যূৎ কোথায় যায়।

এদিকে পাহাড়তলী এলাকার সমাজপতি মোহাম্মদ রফিক বলেন, আমরা স্থানীয়রা বিদ্যূৎ পায়না অন্যদিকে এলাকার পাহাড়ে খাস জমিতে বসবাস করা রোহিঙ্গারা বিদ্যূৎ পায়। সরকারি নিয়ম ছিল খাস জমিতে বিদ্যূৎ সংযোগ দেওয়া যাবে না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে টাকা দিলে সব কিছু জায়েজ হয়ে যায়। খাস জমি বলেন, রোহিঙ্গা বলেন সবাই বিদ্যূৎ পায়। বরং বিদ্যূৎ বিভাগের কর্মচারীরাই অন্যের আইডিকার্ড ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে। এতে আমাদের ঘরে বিদ্যূৎ কম পড়ছে। আর বর্তমানে বিদ্যূতের তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন কাটছে বলে জানান তিনি।

খুরুশকুল, পিএমখালী সহ বিভিন্ন পল্লী বিদ্যূতের আওতাধীন এলাকায় চরম লোডশেডিংয়ের ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এব্যপারে কক্সবাজার বিদ্যূৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গণি বলেন, আমাদের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩৫ মেগাওয়াট, তবে আমাদের ঘাটতি থাকেনা। মাঝে মধ্যে সরকারি উন্নয়ন কাজের জন্য এবং লাইন মেরামত করার জন্য ঘোষণা দিয়েই লোডশেডিং করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102