করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার সংস্থাটির সিনিয়র বিজ্ঞানী মারিয়া ভান কেরকোভ বলেন, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভারতে শনাক্ত হওয়া বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা বেশি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৯ মে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘ভারতে করোনাভাইরাসে যে ভ্যারিয়েন্ট সক্রিয় সেটি হলো বি.১.৬১৭। এই ভ্যারিয়েন্টকে সংস্থাটি এখনও ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা না দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের মতো দেশ সেই আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও উচিত এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা।’
সোমবার সংস্থাটির সিনিয়র বিজ্ঞানী মারিয়া ভান কেরকোভ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব পর্যায়ে উদ্বেগজনক আখ্যা দেন। তিনি জানান মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও’র সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক আখ্যা দেয় ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করছে ডব্লিউএইচও। এক ভাগে রয়েছে পর্যবেক্ষণে থাকা ভ্যারিয়েন্ট এবং উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট। পরের ভাগে পড়া ভ্যারিয়েন্টগুলো বেশি সংক্রামক এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কিংবা বেশি অসুস্থ করে তোলে।
মারিয়া ভান কোরকেভ বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে পরীক্ষা, ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন কম কার্যকর এমন কোনও প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
শুধু ভাইরাসের ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের সচেতনতার অভাবও ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি বলেন, ‘ভারতে জমায়েত বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের মাস্ক পরার ও অন্যান্য কোভিড বিধি মেনে চলার প্রবণতাও কমে গিয়েছিল। ফলে প্রথমে নিচের স্তরে অনেক দিন ধরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ উল্লম্বভাবে বাড়তে শুরু করেছে।’
এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় পরে তা হাতের বাইরে চলে যেতে পরে বলেও সতর্ক করেছেন এই ভারতীয় এই বিজ্ঞানী।
কমেন্ট করুন