বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনি – ঈদের শুভেচ্ছা – লন্ডন – ইউকে অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় আরো অগ্রগতি গ্রেটার চিটাগাং এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) চট্টগ্রামের দুস্থ এবং করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের জন্য উপহার পৌঁছে দিল করোনাভাইরাস: যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন পরীক্ষায় প্রথম রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের শিকার প্রথম বাংলাদেশি ডাক্তার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থার অবনতি, আইসিইউতে ভর্তি করোনাভাইরাস: এই উইকএন্ডে বাড়িতে থাকবেন, স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যাঙ্কক বলেছেন। করোনাভাইরাস: বরিস জনসনের ভাষণের পর যুক্তরাজ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন করোনাভাইরাস: ,প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভাইরাসের পরামর্শ অনুসরণ করুন অন্যথায় আরো কঠোর ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ব্রিটেনে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ইউরোপের এমপিরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৬৫৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতের বিতর্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাবের ওপর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোচনা শুরু হয়েছে, পরে তা ভোটাভুটির জন্য পেশ করা হবে।

ওই পার্লামেন্টের ৭৫১জন সদস্যের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্য এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করছেন – এবং তাদের আনা প্রস্তাবে ভারতের নতুন আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘বিভাজন সৃষ্টিকারী’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য কূটনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর হলেও সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য নাগরিকত্ব আইনকে পুরোপুরি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেই দাবি করছেন।

বহু ইউরোপীয় দেশেও যে অনুরূপ অভিবাসন আইন আছে সেটাও তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।

প্রায় ছ’মাস আগে ভারত সরকার যখন কাশ্মীরের বিশেষ স্বীকৃতি বাতিল করেছিল, তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতকে যতটা বিরূপ সমালোচনা সামলাতে হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত তার কিছুই হয়নি।

কিন্তু প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান এনে ভারতের আনা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন শুধু দেশের ভেতরেই তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ছে না, ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও তা এখন দিল্লিকে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।

 

ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি যারা এনেছেন, সেই এমইপি-দের অন্যতম স্পেন থেকে নির্বাচিত বামপন্থী রাজনীতিবিদ আইডোইয়া ভিলানুয়েভা।

তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, “সারা পৃথিবীতেই আমরা দেখছি মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে আইন বানানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া সেন্সরশিপের মুখে পড়ছে, অভিবাসী ও শরাণার্থীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।”

“দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বের অন্যতম প্রধান গণতন্ত্র ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়।”

“এই পটভূমিতে আমরা মনে করছি অধিকার অর্জনের লড়াই আন্তর্জাতিক রাজনীতির এজেন্ডা থেকে যাতে সরে না যায়, সে জন্যই এখানে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কিছু দায়িত্ব থেকে যায়।”

ভারতের বিরুদ্ধে যৌথভাবে এই প্রস্তাবটি এনেছে পাঁচটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী, যাদের মধ্যে বামপন্থীরা, অতি-বাম এবং পরিবেশবাদী বিভিন্ন দল রয়েছে।

ইউরোপিয়ান্স কনজার্ভেটিভস ও রিফর্মিস্টস বা ইসিআর নামে ৬৬-জন এমইপি-র একটি দল শেষ মুহুর্তে নিজেদের এই প্রস্তাব থেকে সরিয়ে নিয়েছে, ফলে এটিকে এখন সমর্থন করছেন ইইরোপীয় পার্লামেন্টের মোট ৫৬০জন মেম্বার।

 

চূড়ান্ত প্রস্তাবে কাশ্মীরের উল্লেখ না থাকলেও আইডোইয়া ভিলানুয়েভা বিবিসিকে বলছিলেন, সার্বিকভাবে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে এমইপিরা অনেকেই চিন্তিত।

তাঁর কথায়, “নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে যেভাবে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদের পুনরুত্থান হয়েছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক।”

“কাশ্মীরে যেভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং সে দেশের নাগরিকত্ব আইনে ভারতের বহুত্ববাদকে যেভাবে অস্বীকার করা হয়েছে, তাতেই এটা একেবারে স্পষ্ট।”

“ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন ভারতের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে, তখনও কিন্তু মানবাধিকারের প্রশ্নে ভারতের এই পিছু হঠা আমরা মেনে নিতে পারি না।”

এই যৌথ প্রস্তাবটি নিয়ে দুদিন ধরে আলোচনার শেষে আগামিকাল তার ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এর আগেই ভারতের পার্লামেন্টের স্পিকার ওমপ্রকাশ বিড়লার কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদ ব্রাসেলসে পাঠানো হয়েছে।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102