করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যুক্ত রাখতে ও ঝরে পড়া রোধে অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘হোম ওয়ার্ক শিট’ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি প্রণীত ‘অন্তবর্তীকালীন পাঠ পরিকল্পনা’ অনুসারে শিক্ষার্থীদের হোম ওয়ার্কশিট বা বাড়ির কাজ বিতরণের কাজটি শুরু করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে বাড়ির কাজ বিতরণের সময় কথা হয় কক্সবাজার পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী ও রবিন পালের সাথে।
এসময় জানতে চাইলে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাড়ির কাজ পৌঁছে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যুক্ত রাখতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকরাও এ উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
প্রায় একই কথা বলেছেন শিক্ষক রবিন পালও। তিনি একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক। তিনি বলেন, বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যুক্ত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি নিশ্চিত করতেই হোম ওয়ার্কশিট বা বাড়ির কাজ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হবে বলে মনে করি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ) ‘অন্তর্র্বতীকালীন পাঠ পরিকল্পনা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিখন-শেখানো ঘাটতি পূরণে গত ১৫ এপ্রিল ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ শিখন ফল অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ছয় সপ্তাহের কর্ম পরিকল্পনাসহ ওয়ার্কশিট ও অ্যাক্টিভিটিশিট (পরীক্ষামূলক বাড়ির কাজ) প্রণয়ন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোমওয়ার্ক শিট পৌঁছে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।
কমেন্ট করুন