ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সারাদেশে অভিন্ন দর নির্ধারণ করে দিল সরকার। এখন থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫ এমবিপিএস সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস নিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহককে।
রোববার (৬ জুন) রাজধানীর টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মিলনায়তনে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট- এর ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফ এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিটিআরসি বলছে, সেবাদাতারা চাইলে এই দামের চেয়ে কম দাম নিতে পারবে। তবে কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না বাড়তি অর্থ। এতে এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে বলছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
বিটিআরসির হিসাবে, বর্তমানে দেশে ২৪০৯ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে ১০১৭ জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে সাড়ে ১০ কোটি গ্রাহক। আর ১৩৯৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে ৯৮ লাখ গ্রাহক। যেখানে দামে নিয়ে ছিল অরাজকতা। কোথাও ৫০০ টাকা আবার কোথাও ৭০০ টাকা।
অবশেষে একদেশ একরেট নির্ধারণ করা হয়। দফায় দফায় বৈঠক শেষে গত ২৮ মে ইউনিয়ন পর্যায়ে অভিন্ন দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের মধ্যে দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদকে ফাইবার অপটিক হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির আওতায় আনা হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব কার্যক্রম ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পলক জানান, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ইউনিয়ন বাকি থাকবে, সেখানে পাহাড় ও দ্বীপ, যেখানে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল নেয়া যাচ্ছে না, সেগুলোতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে গ্রামে বসেই শহরের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে এবং দুর্গম এলাকার তরুণ প্রজন্ম ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমান দেশের প্রায় ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়নে হাইস্পিড ফাইবার অপটিক ক্যাবল কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। আইসিটি বিভাগের কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকার ৬১৭ টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারে হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়া হবে এবং চলতি বছরে এর মূল অবকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হবে।
কমেন্ট করুন