শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

আশার আলো দেখছেন পানচাষীরা

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ৯ জুন, ২০২১
  • ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানী শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন পানচাষীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি পান রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম রপ্তানী হয় পান। এতে পানের ন্যায্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে এমন প্রত্যাশা করছেন পানচাষী ও ব্যবসায়িরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন পান রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পুণরায় রপ্তানী শুরু হয়েছে পান। এতে খুচরা ও পাইকারী বাজারে পানের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া পানচাষ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া চাষীরা পুণরায় চাষ করতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি চাষীরা পানের ন্যায্যমূল্য পাবে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে পান আমদানী নিষিদ্ধ করে ৬ বছরের জন্য। এতে পানের চাহিদা কমে যাওয়ায় পানের ন্যায্যমূল্য থাকলেও অতিরিক্ত সুবিধা পায়নি চাষীরা। যার ফলে পান চাষে জড়িত অধিকাংশ পুঁজিবাদীরা চাষ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। অভ্যন্তরীণ বাজারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে পানের চাহিদা।

রামু উপজেলার একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক পান উৎপাদন না করলে আবারো ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে পান চাষ। দীর্ঘদিন ব্যাপক আকারে রপ্তানী হওয়ায় দেশের চাহিদা মেটাতেই চাষীরা পান চাষ করছেন। এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি আর নেই। এখন সবাইকে কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক চাষ করতে হবে। অন্যান্য জেলায় উৎপাদিত পানের পাশাপাশি কক্সবাজারে উৎপাদিত পানের আলাদা চাহিদা রয়েছে ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যে।

পানচাষী ও ব্যবসায়ি মহেশখালীর মোহাম্মদ মিয়া জানিয়েছেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমে পান চাষ আরো বাড়াতে চাই। প্রায় পানচাষী আরো আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। তবে বর্তমান বাজার মূল্য সন্তোষজনক হলেও রপ্তানী বেড়ে গেলে পানের চাহিদাও বেড়ে যাবে। এতে আরো লাভবান হবে চাষীরা।

প্রতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করে। এবার সহযোগীতার হাত আরো বাড়াতে হবে। কিভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নভাবে পান উৎপাদন করা যায় এতে চাষীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। অনেকেই আছেন চাষ করেন সনাতন পদ্ধতিতে। ভাইরাসমুক্ত পান কিভাবে উৎপাদন করবে তা প্রায় সকলেরই অজানা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডঃ এখলাছ উদ্দিন জানিয়েছেন এটি চাষীর জন্য খুবই ইতিবাচক খবর। তবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমদানীকারকদের দেওয়া সকল শর্ত পুরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে করণীয় কি তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করব। যদি উৎপাদনের ক্ষেত্রে শর্তের বাইরে যায় সে ক্ষেত্রে আবারো মুখ থুবড়ে পড়বে রপ্তানী।

মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের কৃষি বিভাগ আরো সমৃদ্ধ হবে। পান রপ্তানীর বিষয়টি বাড়াতে জাতীয় সংসদেও উপস্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের পান রপ্তানীর ৪৫ ভাগ হত ইউরোপে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পান আমদানিকারক দেশ। এছাড়া সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও রপ্তানী হয় পান। দীর্ঘদিন রপ্তানী বন্ধ থাকায় কমে যায় পানের চাহিদা। আশাকরি চাহিদা দ্রুত বাড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102