বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

ঈদের আগে বাড়ল চিনির দাম

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ৯ মে, ২০২১
  • ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

রোজার শুরু থেকেই চিনির বাজার ছিল ঊর্ধমুখী; সেমাই আর মিষ্টান্নের ঈদের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আরেক দফা বাড়ল চিনির দাম।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে অন্তত আট টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়, আর দেশি লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

তবে মিল মালিকরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে মিল পর্যায়ে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা।

শুক্রবার ঢাকার মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২ টাকায়, যা ১০ দিন আগেও ছিল ৬৭ টাকা থেকে ৬৮ টাকা।

মুদি দোকানি সাহাদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগের কেনা থাকার কারণে তিনি ৭২ টাকায় চিনির কেজি বিক্রি করতে পারছেন। পাইকারি বাজারে দাম আরও বেশি। ফলে চিনির দাম আরও বেড়ে যাবে।

একই কথা বলেন কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানিরা। চিনির ৫০ কেজির বস্তার মূল্য ৪০০ টাকা করে বেড়ে এখন ৩৪০০ টাকায় ঠেকেছে বলে কয়েকজন দোকানি দাবি করেছেন। আর প্যাকেটজাত লাল চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায়।

ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে সবচেয়ে সস্তা ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে দেড়শ টাকায় উঠেছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে উঠেছে ২৬০ টাকা থেকে ২৭০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়, এই ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

মাছ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মাংসের সঙ্গে ভর করে রুই কাতল, চিংড়ি, শিং ও অন্যান্য নদী ও সমুদ্রের মাছের দামও কেজিতে ২০/৩০ টাকা করে বেড়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন। কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি এলাচ ২২০০ টাকা, জিরা ৩০০ টাকা, গোল মরিচ ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ৬০০ টাকা, কাজু বাদাম ৮০০ টাকা, আলু বোখারা ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102