চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মো. হাশেম (৩৫) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে নিহতের স্ত্রী জরিনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদ রানা পূর্বকোণকে বলেন, ‘মো. হাশেম খান হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী জরিনা খাতুন ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আরও ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মো. সোহাগ (২২) নামে এক যুবককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন সিএন্ডবি কলোনি এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি মো.সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ খান।
মো. সোহাগ আগ্রাবাদ বাস্তুহারা মসজিদ এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের ছেলে।
প্রসঙ্গত, আগ্রবাদের রঙ্গিপাড়া থেকে জাম্বুরি পার্কের দিকে পিকআপভ্যানে উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে সামনে-পেছনে মোটরসাইকেল মহড়া নিয়ে একদল যুবক-তরুণ আসছিল। এসময় মহসিন নামে স্থানীয় এক যুবক রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। এই মহড়া অতিক্রমের সময় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে মহসিনের ডাকে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে মহসিনের ভাই সোহাগ দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন রাজু নামের তাদের গ্রুপের একজনকে হাশেম মারধর করছে। সোহাগের দাবি, রাজু পাথর ছুঁড়ে তার গাড়ির গ্লাস ভেঙেছে। রাজুকে মারধর করতে দেখে সড়কের পাশে আলম নামে এক ব্যক্তির চা দোকান থেকে ছুরি নিয়ে এসে সোহাগ এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এসময় সোহাগের ছুরিকাঘাতে হাশেমসহ তিনজন আহত হয়।
কমেন্ট করুন