শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

চুরি যাওয়া মোবাইল নিয়ে বাকবিতণ্ডা, ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন।

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীতে চুরি যাওয়া মোবাইল নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে মো. রফিকুল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোর মারা গেছে। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে মো. ইয়াসিন আরাফাত (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় পাঁচলাইশ থানাধীন মোহাম্মদপুরের সুলতান কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ইয়াসিন আরাফাত সুনামগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তবে তারা দীর্ঘদিন বসবাস করছে মোহাম্মদপুরের চার রাস্তা মোড় এলাকায়। অন্যদিকে ছুরিকাঘাতে মারা যাওয়া কিশোর রফিকুল ইসলাম ওই এলাকারই মৃত পিরুজ মিয়ার ছেলে। সে নগরীর মুরাদপুরের একটি এলুমিনিয়াম কোম্পানিতে হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল।

নিহতের মামা মো. পারভেজ হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, এলাকার একটি গ্রুপের ৬-৭ জন ছেলে আমার ভাগিনা রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী ইয়াসিন আরাফাতকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, রফিকের চুরি যাওয়া মোবাইল নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় ইয়াসিনের সঙ্গে। এক পর্যায়ে সে আরও ৬ থেকে ৭ জন সহযোগি নিয়ে রফিককে ছুরিকাঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় রফিক মাটিতে গড়াগড়ি দেয়। এসময় ইয়াসিনের সহযোগিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে পারলেও তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রফিককে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতে তাকে ‍মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যেখানে ১ নম্বর আসামি দেখানো হয়েছে ইয়াসিন আরাফাতকে। এজাহারে আসামি করা হয়েছে আরও ৬-৭ জনকে। ঘটনায় জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102