নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পোড়া হাসেম ফুডস কারখানার একটি সিঁড়ি বন্ধ না থাকলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন।
রোববার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৯ জনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আগের রাতে মারা যাওয়া তিনজনসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জন হয়েছে।
দেবাশিষ বর্ধন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গাড়ির মই সেট করে ছাদ থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছি। বাকিরা যদি ছাদে উঠতে পারত, আমরা কিন্তু বাঁচাতে পারতাম।”
সজীব গ্রুপর এই কারখানায় জুস, বেভারেজসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হত। ছয় তলা ভবনের ছাদে ওঠার জন্য দুটি সিঁড়ি রয়েছে, যার একটির ছাদের দরজা বন্ধ ছিল বলে জানান দেবাশিষ বর্ধন।
তিনি বলেন, চতুর্থ তলায় যারা ছিলেন, সেখান থেকে ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি তালাবন্ধ ছিল। আর নিচের দিকে সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছিল ভয়াবহ আগুন। উনারা নিচের দিকেও আসতে পারেন নাই, তালাবন্ধ থাকায় উনারা ছাদেও যেতে পারেন নাই।”
কারখানায় অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কি না জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। আমাদের তদন্ত কমিটি বের করবে কী কারণে আগুন লাগল, কত টাকার ক্ষতি হল,অগ্নি নির্বাপত্তার ব্যবস্থা ছিল কি না।”
রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার এ কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার পর রাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ১৮টি ইউনিট শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক সিদ্দিক মোহাম্মদ জুলফিকার রহমান বলেন, “একেকটি ফ্লোর ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিটের। সিঁড়ি মাত্র দুটি। সিঁড়িতেও আগুন ছিল, ফলে অনেকে বের হতে পারেনি।
“আমরা পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। অনেক বড় ফ্লোর এবং ভেতরে খোপ খোপ কক্ষ থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। এখনও ধোঁয়া ফলে, ছাদে উঠতেও ঝামেলা হচ্ছে।”
কমেন্ট করুন