শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস : নার্সদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিশেষ জরুরি

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ৫ মে, ২০২১
  • ৩৩৩ বার পড়া হয়েছে

গেল ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বজায় রাখুন- এ মর্মে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞাপন ও প্রকাশ করেছিল। এটি কিছুটা উপর মহলে নাড়া দিয়েছে। কিন্তু নিচের মহলে কোন কিছুই হইনি।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বা ইংরেজীতে বলা হয় occupational health and safety এটি একটি পারিভাষিক শব্দ। শব্দটা অনেক কিছু নির্ধারণ করে যেমন:

১.কর্ম পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? যেমনঃ যথাযথ বায়ুচলাচল, বসার আসবাবপত্র, নারীদের জন্য ড্রেসিং রুম ও টয়লেট।

২.স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সময় বিভিন্ন ঝুকি যেমনঃ সূচে আঘাত, সংক্রামক অসুখগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা, রক্তবাহিত রোগগুলো দিয়ে আক্রান্ত হওয়া। লো বেক পেইন, ডি ভি টি, অনিদ্রা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

৩.নৈশকালীন চাকুরীজীবিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

৪.সঠিক কর্মঘন্টা নির্ধারণ। যেমন : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে একজন মানুষ এক সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে পারে। পক্ষান্তরে আমাদের নার্সরা নৈশকালীন সময়ে ৫ দ্ধ ১২ = ৬০ ঘন্টা কাজ করে বিরতিহীনভাবে। এটি সুস্পষ্ট শ্রম আইনের লংঘন।

৫.কর্মস্থলে সুরক্ষা। নিরাপদ কর্মস্থল কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি বৃদ্ধি করে, মানুষ যখন অনিরাপদ বোধ করে তখন নিজকে অসহায় মনে হয় মানসিক যন্ত্রণা বেড়ে যায়।ইদানীং কালে ভুল চিকিৎসার অপবাদ দিয়ে রোগীর স্বজন নামধারী দুর্বৃত্তদের হামলার হার বেড়েছে। কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উচিত তাদের অধস্তনদের নিরাপত্তা বিধান করা এক্ষেত্রে মানবিক গুণাবলী প্রকাশ পায়। এটা অবশ্য কর্মকর্তা কর্মচারীর নায্য অধিকার। শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি পেশাগত স্বাস্থ্য সেবা ও সেইফটি নিয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন।

পেশাগত স্বাস্থ্য সেবা ও সেইফটি নিশ্চিত করা অধস্তনদের অধিকার, নিশ্চিত করা দরকার ঊর্ধ্বতনদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102