শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

টিসিবির পণ্য নিতে লাইনে মধ্যবিত্তরা

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

বেসরকারী জরীপে করোনাকালীন সময়ে প্রায় ৬২ ভাগ মানুষের আয় কমেছে এর মধ্যে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ২৭ ধরনের পেশার মানুষ। অবশ্য সরকার ২০২০ সালে করোনা সংকটের শুরু থেকে দেশের মানুষকে সার্বিকভাবে সহায়তা করে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে মাএক সময়ে টিসিবির পণ্যনিতে সমাজের একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষকে লাইনে দেখা গেলেও বর্তমানে টিসিবির পণ্যনিতে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষও লাইনে দাড়াতে দেখা যাচ্ছে। এমনও অনেক আছে যারা আগে মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিত তারাই এখন বাধ্য হয়ে কিছুটা কম দামে পণ্য নিতে লাইনে দাড়াচ্ছে।

শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার টিসিবির পণ্য দেওয়া এক দোকানের লাইনে দাড়ানো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের বৈইল্লাপাড়া এলাকার একজন জানান, আমি কোর্টবিল্ডিং এলাকা দলিলপত্র লেখালেখি এবং মুন্সি হিসাবে কাজ করি এতে ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার মোটামোটি চলছিল,গত ২ মাস ধরে এক পয়সা বাইরে থেকে আয় করতে পারিনি বরং খরচ বসে নেই প্রতিনিয়তই সংসারের জন্য খরচ করতে হচ্ছে তাই কিছুটা কম দামের চিনি, তেল, পিয়াজ নেওয়ার জন্য টিসিবির লাইনে দাড়িয়েছি।নুষকে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা।

তিনি জানান, আগে আমরা মানুষকে দিয়েছি এখন নিজেরা লাইনে দাড়িয়ে নিতে হচ্ছে। এ সময় মংছ্যাচিন নামের এর রাখাইন বলেন, আমি ৬নং ফিসারি ঘাটে সামান্য কাজ করতাম। তবে বর্তমানে সম্পূর্ণ বেকার তাই সংসার খচর সামাল দিতে এখানে লাইনে দাড়িয়ে কিছু কম দামে জিনিসপত্র নেওয়ার চেস্টা করছি।

তিনি জানান, আমার জানা মতে এখন অনেক মধ্যবিত্ত এখানে লাইনে দাড়িয়ে সরকারি কম দামের জিনিস পত্র সংগ্রহ করছে। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর গাড়ীর মাঠ এলাকায় টিসিবির পণ্য দেওয়া এক দোকানে গিয়ে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষের দীর্ঘ লাইন। সেখানে মনজিলা বেগম নামের এক মহিলার সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখানে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, চনা সহ অনেক কিছু দিচ্ছে যা বাজার রেইট থেকে কম। তিনি জানান, বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি লাইন ধরে এসব নেয়। আগে এসব পণ্যনিতে মানুষ কম থাকতো অথবা কেউ নিতনা এখন মধ্যবিত্তরা সবাই নেয়। আসলে মানুষের আয় রোজগার না থাকায় মানুষ কোথায় যাবে?

তাই কিছু টাকা কম খরচের জন্য এখানে আসে। এ সময় আলমগীর নামের একজন জানান, আমি হোটেল বয়ের কাজ করতাম কিন্তু এখন হোটেল বন্ধ থাকায় খেয়ে না খেয়ে জীবন চলছে। আত্বীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে বরং ছেলেমেয়ের আয় রোজগারে সংসার চলছে তাই বাধ্য হয়ে কম দামে তেল, চিনি নেওয়ার জন্য এখানে লাইনে দাড়িয়েছি।

এ ব্যাপারে টিসিবির পণ্য দেওয়া মনছুর আলম নামের একজন বলেন, মানুষের মধ্যে চরম আর্থিক সংকট চলছে কেউ কাইকে দেখাতে পারছেনা। অনেক পরিচিত মানুষ আমাদের ফোন করে অনুরোধ করে তেল, চিনি, চাল নেওয়ার জন্য কিন্তু লজ্জায় তারা লাইনে দাড়াতে পারছেনা। আবার কাউকে কিছু বলতেও পারছেনা। টেকপাড়ার মোজাহেরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের কারনে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ব সবাই চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। আগে যারা এসব পণ্য খেত না তারা এখন ফোন করে বা লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পণ্য নিচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102