নাইক্ষ্যংছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৪ মুরুং হাসপাতালে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এ জেড এম ছলিম জানান, হাসপাতালে সব রোগী ভালো আছে। তাদেরকে সব ধরণের চিকিৎসাসহ সবকিছু দেয়া হচ্ছে বিনা অর্থে। আর ঘটনাস্থল দৌছড়ি আমঝিরি মূখ গ্রামে একটি মেডিকেল পাঠিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, শনিবার সকালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার তপন বড়ুয়ার নেতৃত্বে এ টিম বেলা সাড়ে ১১ টায় রওয়ানা দিয়েছে ঔষধপত্র সহ। এদিকে গতকাল (১০ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গ্রাম প্রধান (কারবারী) কাইপো মুরুং এ প্রতিবেদককে বলেন, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় আমঝিরির মূখ গ্রামের সবাই হাসপাতালে। তাদের গ্রাম এখন জনশূণ্য।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ডায়রিয়ায় মারা যাওয়া বাবু মুরুং এর স্ত্রী তুমরুয়া মুরুংকে পাহাড়ের পাদদেশে মাটিতে পূতে ফেলেছে স্বামী বাবু মুরুং, মাক্কি মুরুং সহ ৪ দলনেতা। কারবারী মতে, গত রোববার মাংপু পাড়ায় মাংপুরের ৪৭ বছর বয়সী স্ত্রী প্রথম ডায়রিয়া রোগি তাংকং কে দেখতে যাওয়া চং ওয়াই মুরুং ৬ জনই দ্বিতীয় দফায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এর পরপর ডায়রিয়ায় মরে যাওয়া তুমরুওয়া মূরুং (৪৭) আক্রান্ত হন বৃহস্পতিবার। তারা সেদিন গর্জনিয়া বাজার থেকে চিংড়ি মাছ বাড়িতে কিনে নিয়ে খান।
সন্ধ্যায় খাওয়ার পর রাত ৮ টার পরপর প্রচন্ড পেট ব্যাথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় তুমরুওয়া মূরুং এর। পরে সে মারা যায় রাত ১১ টায়। শুক্রবার সকালে পুরো গ্রামের লোকজনের ডায়রিয়া হয়ে গেলে তারা স্থানীয় একজন গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে চলে আসেন নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে। তিনি বলেন তারা এখন অনেকটাই সুস্থ। এভাবে হলে সোমবার সকালে তারা হাসপাতাল ছেড়ে নিজ পাড়ায় ফিরে যাবেন।
কমেন্ট করুন