মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

পরিবহন সংকটে মংডু সীমান্তে আটকা হাজার টন পেঁয়াজ

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১২ জুন, ২০২১
  • ৩৭১ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফ স্হল বন্দরের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইনের কিয়ান চং বাণিজ্যিক ঘাটে বাংলাদেশ মুখী দুইশতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা দূঃচিন্তায় পড়েছে বলে জানা যায়।

কার্যত মংডুর ঐ ঘাট থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসব পেঁয়াজ পাঠানো হয়। টেকনাফ স্থলবন্দরের বিপরীতে রাখাইনের মংডুর কিয়ান চং ঘাটের মধ্যে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত রয়েছে মাত্র ৮ নৌযান। তাও কোভিড-১৯ এর কারণে ব্যহত হচ্ছে। মংডুর কিছু ব্যবসায়ী সেদেশের সরকারের নিকট বিকল্প হিসেবে তুমব্রু লেটওয়ে বা ঘুমধুম স্থল গেইট দিয়ে পচনশীল পণ্যগুলো প্রয়োজনে বাংলাদেশে রপ্তানীর মত দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

গত সপ্তাহেও টেকনাফ ঘাট হতে ফেরত যাওয়া ৪ জন নৌযান শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়। এতে নৌযানগুলো পণ্য নিয়ে টেকনাফ ঘাটে যেতে চাচ্ছেন বলে রাখাইনের সংবাদমাধ্যম জানায়। টেকনাফ স্থল বন্দরে মালামাল খালাস করে মিয়ানমার ফেরত যাওয়া নৌযান শ্রমিকদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকতে হয়। গত বছরের অধিকাংশ সময় কোভিড-১৯ এর কারণে স্থল বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর গত এপ্রিল থেকে তা আবার চালু হয়।

মংডুর ঐ ঘাটে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাংলাদেশী মুদ্রায় ২০-২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা অনেক উচ্চ মূল্য মনে করে ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে বাংলাদেশ সীমান্তে রপ্তানির জন্য মজুদ করছে। কিন্তু পচনশীল এ পণ্য পরিবহন বিলম্ব ও বৃষ্টির কারণে লোকসানের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102