বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

পেকুয়ায় সন্ত্রাসের রাজত্ব করছে আব্দুল হাকিম বাহিনী

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কুদাইল্যাদ্বিয়া এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিম। ছিনতাই অপহরণ, ধর্ষণ চেষ্টা ও আলোচিত সাবেক মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুসের ঘর পুড়ার মামলাসহ ডজনের অধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বেশ কয়েকটি মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন অপরাধ কর্ম পরিচালিত করলেও ধরাচোয়ার বাইরে থেকে যায় এ স্বীকৃত সন্ত্রাসী। যার মামলা নং ৭/২০১৮ জি আর মামলা এবং ৯/২০১৮ জি আর মামলা। মগনামার কুদাইল্যাদ্বিয়া, পূর্বকুল,বেদারবিল পাড়া সহ অসহায় লোকজন তার অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে ওঠলেও ভয়ে মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত পায়না। স্বশস্ত্র অবস্থায় সব সময় চলাফেরা করায় সচেতন মহলও নিরবে সহ্য করে যায় তার নির্মম অত্যাচার আর নির্যাতন। কেউ প্রতিবাদ করলে কাজির মার্কেট আসলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলা করে যেহেতু উক্ত এলাকার জনসাধারণ কাজির মার্কেটের উপর নির্ভরশীল হওয়াতে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অসহায় মানুষ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে কয়েকজন ওয়ারেন্ট ভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী লোক নিয়ে গড়ে ওঠেছে আবদুল হাকিম বাহিনী। তার বাহিনীর সাথে জড়িত রয়েছে আরো বেশ কয়েকজন স্বীকৃত অপরাধী। তাদের কাছ হল টাকার বিনিময়ে মানুষ মারা, বসবাসকারী নিরহ লোকদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, টাকা না দিলে ধর্ষণ চেষ্টা ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা। এ সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত ঘটালেও তাদের ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ পর্যন্ত দিতে পারেনা ভুক্তভোগীরা। যার কারণে বেপরোয়া হয়ে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালিত করতে কোন ধরণের বাধার মধ্যে পড়তে হয়না তাদেরকে। তাদের বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ রয়েছে। কেউ তার অপরাধ কর্মের প্রতিবাদ করলে তাদেরকে প্রাণে হত্যা করবে মর্মে হুমকিও প্রদান করেন।

ইতোমধ্যে পেকুয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করলেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবদুল হাকিম ও তার বাহিনীর সদস্যরা খুব ভয়ংকর। প্রতিদিন কাউকে না কাউকে টাকা দিতে হয়। না দিলে মারধর করে আহত করে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে তার এ বেপরোয়া আচরণে অসহায় অবস্থান জীবন যাপন করতে হয়।

প্রশাসনের প্রতি স্থানীয়দের দাবী তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) কানন সরকার বলেন, ‘তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102