ফাইজার ও মডার্নার কোভিড-১৯ টিকায় ‘অতি বিরল’ ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদযন্ত্রে প্রদাহ হয় বলে জানিয়েছে ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ফাইজার, মডার্নার টিকায় ধারণার চেয়ে বেশি তরুণের হৃদযন্ত্রে প্রদাহ: সিডিসি
তরুণদের মধ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলক বেশি দেখা যাচ্ছে, বলেছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ই্এমএ)।
তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও টিকার উপকার এখনও এর ঝুঁকির তুলনায় অনেক অনেক বেশি বলে তারা আশ্বস্ত করেছে।
হৃদযন্ত্রে প্রদাহের উপসর্গ সম্বন্ধে সচেতন হতে ইএমএ চিকিৎসক ও রোগীদের পরামর্শও দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এসব উপসর্গের মধ্যে আছে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের অনুভূতি, বুক ধড়ফড় করা এবং এলোপাথাড়ি হৃৎস্পন্দন।
টিকা নেওয়ার পর এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ইএমএ জানাচ্ছে, তারা ১৭ কোটি ৭০ লাখ ডোজ ফাইজার বায়োএনটেক টিকায় ১৪৫ জনের ‘মায়োকার্ডিটিস’ বা হৃদযন্ত্রের পেশির প্রদাহ এবঙ ১৩৮ জনের ক্ষেত্রে ‘পেরিকার্ডিটিস’ বা হৃদপিন্ডে থাকা তরল পদার্থের থলিতে প্রদাহের কথা জানতে পেরেছে।
আর মডার্নার ২ কোটি ডোজে ‘মায়োকার্ডিটিস’ পেয়েছে ১৯ জনের, ‘পেরিকার্ডিটিস’ ১৯ জনের।
“খুবই বিরল ক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানা যায়; প্রায় সব ঘটনাতেই সামান্য প্রদাহ হয়েছে এবং সাধারণ চিকিৎসা ও বিশ্রামে স্বল্প সময়ের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছে “ বলেছে তারা।
সাধারণত, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যেই বেশিরভাগ হৃদযন্ত্রে প্রদাহজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মডার্না এবং ফাইজারের টিকাতেই হৃদপন্ত্রে প্রদাহের এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ টিকাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রশিক্ষিত করতে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জ্যানসেনের টিকায় জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে; এ দুটো টিকার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের হৃদযন্ত্রের প্রদাহজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনও (সিডিসি) মডার্না ও ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ধারণার চেয়ে বেশি তরুণের হৃদযন্ত্রে প্রদাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছিল।
কমেন্ট করুন