আদালতে ও থানায় মামলা বা অভিযোগ (এফআইরআর) দায়ের করার সময় বাদী বা অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর উল্লেখ করার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক হাকিম বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে এখন থেকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুন) ‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর মামলা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ৪৯টি মামলার তদন্ত করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিন রিট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন ফৌজদারী মামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেইসঙ্গে মিথ্যা মামলার দায়েরের মাধ্যমে রিট আবেদনকারীকে যারা হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উপ মহাপরিদর্শকসহ ৪০ বিবাদীকে।

রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন এই রিট আবেদন করেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা আছে।

আদালতে কাঞ্চনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক বসির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী এমাদুল হক বসির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একটি মারামারির মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট সূত্রাপুর থানা পুলিশ একরামুল আহসান কাঞ্চনকে প্রথম গ্রেপ্তার করে। এরপর দুই বছর তিন মাস তিনি কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যে ১৭টি মামলা হয়।

পরে ২০১৫ সালের ২১ মে জামিনে বের হয়ে আসেন কাঞ্চন। পরে আরও বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে সেসব মামলাও তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন।

এমাদুল হক বসির আরও জানান, একরামুল আহসান কাঞ্চন ৩৬ মামলায় খালাস পেয়েছেন। বাকি ১৩ মামলায় তিনি জামিনে আছেন।