বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারী আইন অকার্যকর

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

করোনা সংক্রমণের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উখিয়ায় সর্বাত্মক ভাবে প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। কাঁচাবাজার, ঔষধের দোকান ও কিছু রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও অনান্য সবকিছু বন্ধ রয়েছে। তবে উখিয়ার ২১ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারের নির্দেশনা কার্যকরে শৈথল্য দেখা গেছে।

গত কয়েক মাসের তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনা আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া ও টেকনাফে স্হানীয় মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হারও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গত এক বছরে ৩৪ টি ক্যাম্পের ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে ব্যাপক আকারে তা রোহিঙ্গাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। ৩০ জুন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৭৯০ জন, মৃতের সংখ্যা ২০ জন।

বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার একের পর এক লকডাউন, বিধি নিষেধ আরোপ করে চলেছেন। গতকাল ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। যা একই সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও কার্যকরে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে লকডাউন বা সরকারী বিধি নিষেধ ক্যাম্পগুলোতে কার্যকরে যথেষ্ঠ শৈথল্য ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় উখিয়ার ১৫ নং জামতলী ক্যাম্পে দেখা গেছে লকডাউনের প্রায় বিপরীত চিত্র। সরকারী আইন কানুন লংঘন করে দায়িত্বরত সরকারী কর্মকর্তাদের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে “ওঈঈঙ” নামক এনজিও শত শত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে ইট, বালু বহন করাতে।

যা কোন অনুমোদিত জরুরী কাজের আওতায় পড়ে না বলে স্হানীয় লোকজনের —েগাভ। তাদের অভিমত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, কতৃপক্ষ কি এগুলো দেখেন না?

উখিয়ার রোহিঙ্গা কবলিত পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বিড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধবে কে”।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য সরকার জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট নির্দেশ জারী করে। দেশের মানুষ নানা অসুবিধার পরও তা মেনে চলছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো কি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন কানুনের উর্ধে?

জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি দেখভাল করার জন্য নিয়োজিত আছেন অতিরিক্ত সচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী ও সহকারী সচিব পর্যায়ের কয়েক ডজন সরকারী কর্মকর্তা। একই সঙ্গে দুই জন এসপির নেতৃত্বে নিয়োজিত রয়েছেন এপিবিএন পুলিশের দুটো ব্যাটালিয়ন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারী আইন ও সকল নির্দেশনা দেশের অভ্যšত্মরে সবক্ষেত্রের জন্য সমান প্রযোজ্য ও কার্যকর। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর জন্য আমাদের স্হানীয় লোকজনদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সরকারী নির্দেশনা বা তত্ত্বাবধানের পরিস্থিতির চিত্র কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102