লিটন সিকদার সেজে কারাগার থেকে জামিনের কাগজপত্র দেখিয়ে বেরিয়ে গেছেন লিটন ফরাজী। এখন এই আসামিকে ঢাকা, শরীয়তপুর ও বরিশালে হন্যে হয়ে খুঁজছেন কারা কর্মকর্তারা। ঘটনাটি শরীয়তপুর কারাগারের। ঘটেছে ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায়। আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আসামিকে খুঁজে পায়নি কারাগার কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে শরীয়তপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শরীয়তপুরের জেল সুপার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল কারা মহাপরিদর্শককে জানিয়েছেন।
শরীয়তপুর কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলামের পালং মডেল থানায় করা জিডির আবেদনে বলা হয়েছে, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি দুজন আসামিকে বিধিমোতাবেক মুক্তি দেন। কিন্তু দাপ্তরিক অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে লিটন সিকদার সেজে প্রতারণা করে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন লিটন ফরাজী।
শরীয়তপুর কারাগার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিটন ফরাজীর বাড়ি বরিশালের উজিরপুর। ঢাকার বাসা বাসাবোতে। তাঁর নামে তিনটি মামলা রয়েছে। আর লিটন সিকদারের বাড়ি শরীয়তপুরে।
শরীয়তপুর কারাগারের জেল সুপার গোলাম হোসেন ৫ এপ্রিল কারা মহাপরিদর্শককে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে বিষয়টিকে জামিনে ভুল মুক্তি বলে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, লিটন সিকদারের (বাবা আনোয়ার হোসেন সিকদার) পরিবর্তে হাজতি লিটন ফরাজী (বাবা আবদুর রব ফরাজী) শরীয়তপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় জেলার ও ডেপুটি জেলারের বিরুদ্ধে কারা বিধিমোতাবেক লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে শরীয়তপুর কারাগারের জেল সুপার গোলাম হোসেনের সঙ্গে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জেলার আমিরুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কমেন্ট করুন