শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

১২ ও ১৩ এপ্রিল তাহলে কী হবে

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় বর্তমানে সাত দিনের শিথিল ‘লকডাউন’ চলছে, যা কাল রোববার শেষ হবে। আবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর’ লকডাউন হতে যাচ্ছে।

এ রকম অবস্থায় অনেকেরই প্রশ্ন, মাঝের দুদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল তাহলে কী হবে? এই দুদিন কি সারা দেশে গণপরিবহন চলবে? কোনো ক্ষেত্রেই কি বিধিনিষেধ থাকবে না? তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার

জনস্বাস্থ্যবিদেরা মনে করছেন, যদি এই দুদিন স্বাভাবিক থাকে, তাহলে ‘কঠোর’ লকডাউনের আগে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে গ্রামের দিকে ছুটবে। তখন করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ জন্য তাঁরা চাচ্ছেন, দ্রুতই এই-দুই দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া দরকার।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ১২ ও ১৩ এপ্রিল গাড়ি চলাচল বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার যেটা বলবে, সেই অনুযায়ী সব হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কাল সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ১২ ও ১৩ এপ্রিল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনা সাপেক্ষে আগামীকালের মধ্যেই জানানো হবে। তবে সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে, সেই চেষ্টা চলছে।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন যেভাবে বিধিনিষেধ চলছে সে রকমভাবেই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা বলা হতে পারে।

ঢিলেঢালা এমন ‘লকডাউনে’ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত আছে। করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ডসংখ্যক ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৪৩ জন। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও কয়েক সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তখন করোনায় আক্রান্ত বহু লোককেই ন্যূনতম চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। এখনই হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীদের।

জানতে চাইলে এই কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে, যেহেতু কিছুদিন আগে দেওয়া বিধিনিষেধগুলো মানা হচ্ছে না, তাই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর চলমান ঊর্ধ্বগতিতে কমিটি মনে করে সিটি ও পৌর এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া গেলে ভালো ফল আসতে পারে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবার বিধিনিষেধ মেনে করোনার সংক্রমণ রোধ এবং জীবিকা চালিয়ে নেওয়া যাবে।

তিনি আশা করেন, সরকার এক সপ্তাহ বললেও লকডাউন আরও বাড়াবে। তবে এটি শুধু সরকারের একার বিষয় নয়, এখানে মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে, মানুষকে সচেতন হতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102