করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজারের বেশি রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁরা প্রধানত টেলিমেডিসিনের ওপর নির্ভরশীল। তবে এসব রোগী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে কতটা কার্যকর সেবা পাচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব অধিদপ্তরের কাছে নেই।
করোনায় আক্রান্ত সব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন না, নেওয়ার দরকারও নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারির শুরুর দিকে বলেছিল, আক্রান্ত রোগীর ২০ শতাংশের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার হতে পারে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার দরকার নেই। যাঁদের রক্তে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়, সংক্রমণে যাঁদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাঁদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার দরকার হয়।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল শুক্রবার দেশে মোট আক্রান্ত, সুস্থ ও মৃত্যুর যে হিসাব দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার ১৩১ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৫৮৪ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫ হাজার ৩৩৮ জন। বাকিরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসা কীভাবে চলছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব রোগীর একটি বড় অংশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টার ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩’ থেকে সেবা পাচ্ছেন। বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান থেকেও মানুষ সেবা পাচ্ছেন। অনেকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।’
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, দুটি কারণে টেলিমেডিসিন গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই সেবা নেওয়া সম্ভব হয় বলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। দ্বিতীয়ত, এই সেবায় সময় ও অর্থ কম ব্যয় হয়। তবে এটি সরাসরি চিকিৎসার সমকক্ষ নয়।
কমেন্ট করুন