কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৮ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে নিভে গেছে ১১টি প্রাণ। ঘর পুড়েছে তিন হাজারের বেশি। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে বড় মার্কেট বলিবাজারে ৫০ কোটি টাকার মালামাল পুড়েছে। ক্যাম্পের ঝুপড়িগুলোর মালামালও ভস্মীভূত হয়েছে। পুড়েছে ৪ নম্বর এপিবিএনের পুলিশ ব্যারাক, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর অফিসও। বাস্তুহারা রোহিঙ্গারা কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে আশ্রয় নিয়েছে।
আগুন কীভাবে লাগল, কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। রোহিঙ্গাদের দেওয়া একজনের তথ্যের সঙ্গে আরেকজনের কোনোই মিল নেই। বাংলা ট্রিবিউন লিখেছে, ‘এমনকি রোহিঙ্গারাই একে অপরকে দোষারোপ করছে।’ আগুন লেগেছে, নাকি লাগানো হয়েছে—এমন প্রশ্ন তোলাটা এই মুহূর্তে মানবিক হবে না। আমরা সন্দেহ করতে চাই না। মানুষগুলোর মহাবিপদ। দ্রুত যা যা করা দরকার, আন্তর্জাতিক সাহায্য–সহযোগিতা নিয়ে হলেও সব নিয়ে এগিয়ে আসাটাই জরুরি। কিন্তু এই একটি অগ্নিকাণ্ড যে এক ভয়াবহ সামাজিক দুর্যোগ বয়ে আনতে পারে, সেই আশঙ্কাটি বিস্মৃত হলেও চলবে না।
কমেন্ট করুন