টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ায় এক ব্যক্তির ৪২ বছরের নিজস্ব সত্বীয় জমি স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র রাতের অন্ধকারে ঘর তৈরী করে জবর-দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী পরিবার তাদের জমি ফিরে পেতে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগ আমলে নিয়ে বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কে দায়িত্ব প্রদান করেন।
গত ২৪ এপ্রিল টেকনাফ মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,গত ১৮এপ্রিল রাত ১২টারদিকে টেকনাফ বাহারছড়ার শামলাপুর পুরান পাড়ার মোক্তার আহমদ (৪৫) এর নেতৃত্বে মোঃ রাসেল (২৮), জিয়াউল হক (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), মোস্তাফিজুর রহমান (৪৮), আবু ছিদ্দিক (৪৫), রাশেদা (২৩) এবং শাহেদা বেগম (২২) সহ আরো ৮/১০জনের লাঠি-সোটা ও দা-কিরিচ নিয়ে স্থানীয় হাজী আব্দুল মোতালেব এবং নুর আয়েশার নামীয় খতিয়ান নং-১/৪৮ এর বিএস দাগ-১৬০৯ বন্দোবস্তি মামলা নং-০৩/১৯৯৮-৯৯ইং এবং নামজারী ও জমাভাগ মামলা নং-১০৭২/২০০৭-০৮ইং এর ২১/০৪/২০০৮ইং তারিখের আদেশমতে সৃজিত নামজারী খতিয়ানভূক্ত ২১শতক জমি গত ৪২বছর ধরে চাষাবাদ করে ভোগ-দখলীয় জমিতে বাঁশের ঘর তৈরী করে জবর-দখলে নেয়।
পরদিন খবর পেয়ে হাজী আব্দুল মতলব ও ছেলে মোঃ তৈয়ব ঘটনাস্থলে গেলে জবর-দখলকারীরা হামলা করার জন্য এগিয়ে আসে। তখন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে অবহিত করা হলে চৌকিদার মাধ্যমে তাদের ডাকা হয়। তারা সালিশে সময়ের আবেদন করেন। পরবর্তী বিচারে তারা সালিশ না মেনে উল্টো মেম্বারকে গালমন্দ করার পর জমির মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তাই জমির মালিক রক্তপাতহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজের ভোগ-দখলীয় উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় উপরোক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২৬ এপ্রিল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং উভয়কেই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
ভূক্তভোগী পরিবার ৪২ বছরের সম্পত্তি রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার করে ফেরত দিতে এলাকার জনপ্রতিনিধি,আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
কমেন্ট করুন