রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

সংকটেও লড়ছেন ওরা

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১
  • ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। বাড়ছে আইসোলেশনের সংখ্যা। কিন্তু বাড়েনি চিকিৎসক, সেবিকা, আয়া, ক্লিনার ও অন্যান্য লোকবল। প্রয়োজনের তুলনায় ৫৯ শতাংশ জনবল সংকট নিয়েই গেল সোয়া ১ বছর ধরে কক্সবাজার জেলার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন জেলার চিকিৎসক ও নার্সরা।

নিজের জীবনকে বাজি রেখেই ভয়ংকর কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। গেলো সোয়া ১ বছরে জেলায় কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো-মোট ১৩ হাজার ৯৩৭ জন। এরমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩৬ জন যার ২১ জন রোহিঙ্গা। একইসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৬২১ জন করোনা রোগী। সুস্থতার হার ৮৫ শতাংশ।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সূত্র অনুযায়ী, যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে সেই তুলনায় এখানে নেই পর্যাপ্ত লোকবল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।

এ বিষয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে জেলায় জ্যামিতিকি হারে রোগী বাড়ছে। বর্তমানে প্রায়ই ৩০ শতাংশ লোকের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান মিলছে।

তিনি বলেন, ১০ জুলাই জেলার ১৬১ জনের শরীরে করোনার জীবানু পাওয়া যায়। আর ১১ জুলাই ১৮১ জনের শরীরের কোভিডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ১৪০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে। এতে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আসা ২৩০০ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১১০০ জন করোনা রোগীকে সেবা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৩০০ জনের আশংকাজনক অবস্থা ছিল।

তিনি আরো বলেন, আইসোলেশন সেন্টার থাকলেও এরজন্য আলাদা ভাবে চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ক্লিনার, ওয়ার্ড বয় দেয়া হয়নি। আমরা সরকারি হাসপাতালের নিয়মিতরাই আইসোলেশন সেন্টারটি দেখভাল করছি। এ কাজের জন্য নানা এনজিওর চিকিৎসকরা এবং নার্সরা আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন। এরপরও আমাদের ৪০ শতাংশ জনবল সংকট রয়েছে।টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল বলেন, সরকারী এনজিও মিলিয়ে ২১০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে টেকনাফে। এতে প্রায় ১৪০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে মোট শয্যার আশি শতাংশেই রোগী রয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জনগনকে সচেতন করতে কাজ করছে। এছাড়া তারা সকাল বিকাল দুই ভাগে কোভিড পরীক্ষা করছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরকার জেলায় আইসোলেশন সেন্টার দিলেও তার জন্য চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য লোকবল দিতে পারেনি। আমরা বিভিন্ন এনজিওর সাথে সমন্বয় করে তাদের চিকিৎসক ও নার্সদের সহযোগীতায় আইসোলেশন সেন্টারগুলো পরিচালনা করছি। কিন্তু এনজিও সংস্থাগুলো আমাদেরকে ডাক্তার নার্স দিলেও ওয়ার্ড বয়, আয়া, ক্লিনার এবং অন্যান্য লোকবল দিতে পারেনি। ৫৯ শতাংশ পদ শূন্য। এসব শূণ্যপদে লোকবল নিয়োগ দিতে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দিয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102