শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাস: স্পেনে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ জন বেড়েছে

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

স্পেনের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে ১৫০০ জন বেড়েছে। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৭০০ জনে।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে ইতালির পরে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেন। ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার জনের বেশি।

স্পেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা জন্য দেশটির সরকার একটি বৈঠক শুরু করার আগেই এই খবর এলো।

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) জানিয়েছে যে ইউরোপ এখন মহামারির কেন্দ্রস্থলে রূপ নিয়েছে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা যেন জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। যেমন, সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি আনা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা।

বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

স্পেনের পরিস্থিতি কী?

শনিবারের মধ্যে স্পেনে ১৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার সাতশো তিপ্পান্ন জনে। শুক্রবার রাতেও এই সংখ্যা ছিল ৪,২৩১ জন।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ শিগগিরই সংকট মোকাবেলায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রের উত্তরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি হতে যাচ্ছে।

প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ২০১০ সালে, যখন বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারীরা ধর্মঘট করেছিল।

স্থানীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। মাদ্রিদ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ পানশালা, রেস্তোঁরা ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

শুধুমাত্র খাবারের দোকান, ফার্মেসি এবং পেট্রোল স্টেশনগুলো খোলা রাখতে দেয়া হয়েছে।

গ্যালিসিয়া এবং কাতালোনিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সেভিল শহরের মেয়র জানিয়েছেন, যে তিনি দক্ষিণের বিখ্যাত ইস্টার মিছিলের আয়োজন স্থগিত করেছেন।

কাতালান আঞ্চলিক নেতা কুইম টোরা বলেছেন যে তিনি পুরো অঞ্চলটি ঘেরাও করে ফেলতে চান, এবং তিনি মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষকে বিমান, রেল ও সমুদ্রপথে প্রবেশ বন্ধ করতে বলেছেন।

বিভিন্ন এয়ারলাইন্সও স্পেনের ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে।

শনিবার জেট-টু নামের এয়ারলাইন্স সব ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিলে, আকাশের মাঝপথে থাকা অবস্থায় বিমান ফিরিয়ে আনা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102