রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:১৫ অপরাহ্ন

ঘুষের টাকাসহ চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার ও অফিস মোহরারকে আটক করেছে দুদক

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

ঘুষ লেনদেনের’ টাকাসহ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাদিমুজ্জামান (৩১) ও অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে (৩৯) আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারি পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই দুই জনকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় কৌশলে পালিয়ে গেছেন অফিস সহকারি শ্যামল বড়ুয়া।

আটক সাবরেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামানের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাশপুর থানার উত্তর নাড়িবাড়ি গ্রামে। তার পিতার নাম মো. মোজাম্মেল হক। অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে। তার পিতার নাম মধুরাম পাল। পলাতক অফিস সহকারি শ্যামল বড়ুয়া কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকার দীনবন্ধু বড়ুয়ার ছেলে।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারি পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামানের ব্যববহৃত রেকর্ড রুমের স্টিলের লকারের প্রথম ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অফিস সহকারি শ্যামল বড়ুয়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা এবং অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করার টাকাগুলোর বিষয়ে তারা দুদককে সন্তোষজনক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। টাকাগুলো তারা দলিল রেজিস্ট্রিকালে ঘুষ হিসেবে গ্রহন করেছেন। তাদের ড্রয়ার থেকে ঘুষ লেনদের হাতের লেখা ৪১টি স্লিপ জব্দ করা হয়েছে। ওই স্লিপে সাব-রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ লেনদেনের তথ্য উল্লেখ আছে।

তিনি জানান, আটক দুই জনকে আজ ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিকেল ৫ টার মধ্যে তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত দুই জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। আগামী রোববার মামলা নথিভুক্ত হতে পারে।

দুদক সূত্র জানায়, সাধারণ মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম ছদ্মবেশে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তারা অভিযান শুরু করে। অভিযান শেষ হয় রাত ৩ টার দিকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102