রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন

জেলায় সংকট নিরসনে ১০ হাজার সিনোফার্ম টিকা বরাদ্দ

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সিনোফার্ম এর নতুন ১০ হাজার টিকা। ইতিমধ্যে ৬০১ জনকে ২য় ডোজের অংশ হিসেবে টিকা দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এই নিয়ে গতকাল পর্যন্ত ২য় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৫৭৫৬৯ জন। এর আগে ৫৬৯৬৮ জনকে ২য় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছিল। এদিয়ে জেলায় সংকট নিরসনে সিনোফার্ম এর টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। কাঁচামাল সংকটের অজুহাতে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করেই সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় টিকা। এই সংকটের আওতায় ছিল কক্সবাজারও।

কক্সবাজার জেলায় যারা সেরাম টিকার ১ম ডোজ নিয়েছেন তাদের সংখ্যা ছিল ৭৯৯৭১ জন। সেই হিসেবে জেলায় ১ম ডোজের নিবন্ধনকারীদের জন্য প্রয়োজন ৭৯৯৭১ দ্বিতীয় ডোজের টিকা। কিন্তু জেলায় ১ম ডোজ টিকার পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে সক্ষম হয়েছিলেন ৫৬৯৬৮ জন নিবন্ধনকারী। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান মতে জেলায় নিবন্ধনকারীর জন্য দ্বিতীয় ডোজের সংকট ছিল ২৩০০৩ টি টিকা। যেগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১ম ডোজের পরবর্তী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২য় ডোজ নেয়ার কথা ছিল।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ম ডোজ নিয়েছেন মোট ৭৯৯৭১ জন নিবন্ধনকারী। এরমধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১ম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২০১৭৩ জন, মহেশখালী উপজেলায় ৭৯৯৫ জন, চকরিয়া উপজেলায় ১৩১৭৯ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৪৫৩৫ জন, উখিয়া উপজেলায় ৮৩১৩ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৩৩১ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৩৬৯১ জন ও রামু উপজেলায় ১৫৭৫৪ জন নিবন্ধনকারী।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় ইতিমধ্যে ১৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল ৬ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮২১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১১২৭০ জন করোনা রোগী।

ইতিমধ্যে কক্সবাজার সদরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪০১ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪৭৭২ জন, মারা গেছেন ৬৫ জন, মহেশখালীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬৫৬ জন, মারা গেছেন ২ জন, কুতুবদিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১০১ জন, মারা গেছেন ২ জন, উখিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৭০০ জন, মারা গেছেন ২৬ জন, টেকনাফে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৭৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১২৮৯ জন, মারা গেছেন ১২ জন, পেকুয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩০৬ জন, মারা গেছেন ৪ জন, চকরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৯ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭৮৫ জন, মারা গেছেন ১৪ জন এবং রামুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৯ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬৬১ জন, মারা গেছেন ৬ জন।

মোট ৬৮৭ জনকে পরীক্ষা করে ১২৫ জন শনাক্ত হন। এরমধ্যে কক্সবাজার সদরে ৫৬ জন, চকরিয়ায় ৬ জন, পেকুয়ায় ৩ জন, মহেশখালীতে ১ জন, কুতুবদিয়ায় ১ জন, রামুতে ১ জন, উখিয়ায় ৩৫ জন এবং টেকনাফে ২২ জন।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন অফিসে পরিসংখ্যানবিদ পঙ্কজ পাল দৈনিক কক্সবাজারকে জানান, ইতিমধ্যে কক্সবাজারে সিনোফার্ম এর নতুন টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। জেলায় ১ম ডোজ পরবর্তী দ্বিতীয় ডোজের সংকট রয়েছে ২৩০০৩টি টিকার। সেই হিসেবে কক্সবাজার সদরে সংকট রয়েছে ৩৮৭৪টি, মহেশখালীতে ২৬১৮টি, চকরিয়ায় ৪৩৪৩টি, পেকুয়ায় ২০৭০টি, উখিয়ায় ২৫৫৪টি, টেকনাফে ১৭৩২টি, কুতুবদিয়ায় ১৬৭৫টি ও রামুতে ৪৩০৫ জন নিবন্ধনকারী দ্বিতীয় ডোজের সংকট ছিল। যেগুলা সরকার যখন টিকা সরবরাহ করবে তখনই নির্দেশনা মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়ার কথা ছিল। বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় ১০ হাজার নতুন সিনোফার্ম এর টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০১ জনকে ২য় ডোজের অংশ হিসেবে টিকা দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102