মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিয়ে সারলেন অতি গোপনে

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
  • ৪৮৬ বার পড়া হয়েছে

সপ্তাহখানেক আগেও ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলোর খবরে জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী বছরের জুলাইয়ে তার বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডসকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, সেজন্য বন্ধুদের ‘সেইভ-দ্য-ডেট’ কার্ডও পাঠিয়েছেন। কিন্তু শনিবারই তারা বিয়ে সেরে ফেলেছেন চুপিসারে। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথেড্রালে নিশ্ছিদ্র গোপনীয়তার মধ্যে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের দুটি ট্যাবলয়েড দ্য মেইল ও দ্য সান।

দুটি পত্রিকার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, শুরু থেকেই নানা কারণে আলোচনায় থাকা জনসন-সিমন্ডস সম্পর্ক এর মধ্য দিয়ে একটি নাটকীয় মোড় নিল। দ্বিতীয় স্ত্রী মেরিনা উইলারের সঙ্গে বিচ্ছেদের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০১৯ সালে সিমন্ডসকে নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে থাকতে শুরু করেন জনসন। গত বসন্তে তাদের কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান, যার নাম উইলফ্রেড।

গতবছর কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সঙ্কটজন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। হাসপাতাল থেকে ফেরার সপ্তাহখানেক পরই ছেলের বাবা হন ৫৬ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, জনসনের এটি তৃতীয় বিয়ে এবং ৩৩ বছর বয়সী সিমন্ডসের প্রথম। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ব্যয়বহুল সংস্কারের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর বাগদত্তার ভূমিকা যুক্তরাজ্যে আলোচনার জন্ম দেয়।

দ্য মেইল এবং দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার বিকেলে জনসন-সিমন্ডসের বিয়ের অনুষ্ঠান সারা হয় কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে। এমনকি জনসনের ঘনিষ্ঠ সহকারীরাও বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না। দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ করেই দর্শনার্থীদের জন্য লন্ডনের ওই গির্জা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জনসন ও তার কনে একটি লিমাজিনে চড়ে সেখানে উপস্থিত হন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বিয়েতে মাত্র ৩০ জন অতিথি যোগ দেন, যাদের মধ্যে বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসনও ছিলেন। তিনিও নিমন্ত্রণ পান খুব অল্প সময় আগে। সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের আসরে সিমন্ডস যে সাদা গাউনটি পরেছিলেন, তার মুখাবরণ ছিল না। তাদের এক বছরের ছেলেও বিয়েতে উপস্থিত ছিল। ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে বিয়ের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদপত্রে ওই খবর প্রকাশের পর রাজনৈতিক মহল থেকে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানানো শুরু হয়ে যায়।

নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার আরলেন ফস্টার টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “আজ বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় বরিস জনসন এবং ক্যারি সিমন্ডসকে অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।” ১৮২২ সালে লর্ড লিভারপুর প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন মেরি চেস্টারকে। এরপর জনসনই প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিয়ে করলেন।

সিমন্ডস যখন কনজারভেটিভ পার্টির যোগাযোগ সহকারী, সেই সময় জনসনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা। জনসন তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছিলেন, ওই সংসারে তাদের চার সন্তান রয়েছে। ২০২০ সালে দুইজন তাদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন এবং সিমন্ডস জানান, তিনি সন্তানসম্ভবা। বর্তমানে সিমন্ডস প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন; তিনিও গতবছর কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102