শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন

মিতু হত্যার আসামি সাক্কু ফের রিমান্ডে

সৈকত
  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি সাইদুল আলম শিকদার সাক্কুকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পিবিআই পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল, শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরআগে ১৩ মে সাক্কুকে প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পিবিআই।

১২ মে রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট বাজার থেকে সাক্কুকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-৭ তাকে পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করেছিল। ওইদিন মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোশাররফ হোসেন যে হত্যা মামলা করেছিলেন তাতে অন্যতম আসামি সাক্কু।

২০১৬ সালের ৫ জুন মিতু হত্যার পর ১ জুলাই সাক্কুকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া খুনিরা যে মোটর সাইকেল ব্যবহার করেছিল সেটা সরবরাহকারী ছিলেন সাক্কু। সাক্কুর ছোট ভাই কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা মিতু হত্যাকাণ্ডের ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই।

গত ১২ মে সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পিবিআই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ। বাবুল ও সাক্কু ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুলের ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালু।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102