শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

সেন্টমার্টিন রক্ষায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে পর্যটক : পরিবেশমন্ত্রী

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১
  • ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষার্থে অতি দ্রুত পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দ্বীপে প্রতিদিন কতজন পর্যটক ভ্রমণে আসবেন সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সেন্টমার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশগত অবস্থার উন্নতি করতে সরকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, সেটি স্থানীয় প্রশাসনসহ আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।’

শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে সেন্টমার্টিন ঘুরে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় দ্বীপের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন তিনি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সুরক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্বীপের ভাঙন রোধে, বেড়ি বাঁধ দেওয়া যাবে কিনা সেটি বিশেষজ্ঞ ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তাই সেটি বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা হাতে নেবে। পাশাপাশি দ্বীপ রক্ষায় দায়িত্ব সবার, তাই দ্বীপের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।’

বৈঠক শেষে মন্ত্রী সেন্টমার্টিনে পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘প্রতিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ প্রকল্প’-এর বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি দ্বীপে নারিকেল গাছের চারা রোপণসহ বিভিন্ন জীববৈচিত্র্যের জাদুঘর পরিদর্শন শেষে সমুদ্রে কাসিমের বাচ্চা অবমুক্ত করেন।

অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ, অপরিকল্পিতভাবে হোটেল-মোটেল নির্মাণ, নির্বিচারে গাছ কেটে বন উজাড় করা, প্লাস্টিকসামগ্রীর বর্জ্যসহ বিভিন্ন কারণে দ্বীপের নানা প্রজাতির প্রাণিকুল বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এ ছাড়া পর্যটকদের পানির চাহিদা মেটাতে বৈদ্যুতিক পাম্প বসিয়ে ভূগর্ভস্থ মিষ্টি পানি উত্তোলনসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে কোরালসহ জীববৈচিত্র্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন– পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ কে এম রফিক আহমদ, পরিচালক পরিকল্পনা ও সেন্টমার্টিন প্রকল্পের পরিচালক মো. সোলাইমান হায়দার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী, সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সাদ মোহাম্মদ তাইম, সেন্টমার্টিন বিজিবির অধিনায়ক মেজর আসাদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ প্রমুখ। এর আগে সকালে টেকনাফ পৌরসভার বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে কোস্টগার্ড মেটাল শার্ক যোগে সেন্টমার্টিন পৌঁছেন মন্ত্রী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
themesba-lates1749691102